আইপি এড্রেস কি (IP address)? আইপি অ্যাড্রেস কিভাবে কাজ করে ? আইপি অ্যাড্রেস কত প্রকার ও কি কি?

 আমরা কিন্তু প্রত্যেকেই আইপি অ্যাড্রেস নামটা শুনেছি। আজকে এই পোস্টে মূলত আলোচনা করব

•  আইপি অ্যাড্রেস কাকে বলে

• Ip address কিভাবে কাজ করে
• আইপি এড্রেস কত প্রকার ও কি কি
• Ip address বের করার নিয়ম 

ইত্যাদি বিষয় , তো প্রথমেই আমরা জেনে নেই

আইপি এড্রেস কি (IP address) ? আইপি অ্যাড্রেস কিভাবে কাজ করে ?
what is Ip address in bengali

আইপি অ্যাড্রেস কাকে বলে বা ইন্টারনেট প্রটোকল কাকে বলে  : 

Ip address এর পুরো নাম হল ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস। কম্পিউটার , ট্যাব, মোবাইল, রাউটার ও প্রিন্টার ইত্যাদির অবস্থান সনাক্ত করার জন্য এক ধরনের unique নাম্বার ব্যবহার করা হয় এই নাম্বার গুলোকে বলা হয় আইপি অ্যাড্রেস । একটা ডিভাইসে মাত্র একটি আইপি অ্যাড্রেস থাকে।

 Ip address কিভাবে কাজ করে:

ধরুন আপনার একটি বন্ধু ইংল্যান্ডে থাকে তার সাথে আপনি ফোনে কথা করতে চান, তাহলে আপনি প্রথমে তার নাম্বারটি নেন এবং তাকে কল করেন অর্থাৎ কল করার জন্য কিন্তু আমাদের একটি ইউনিক নাম্বার প্রয়োজন হয়, যে নাম্বারটিতে কল করলে আপনার কাছেই কল আসবে বা অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে কল যাবে না। 

 

ঠিক তেমনি আলাদা কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য একটি ইউনিক নাম্বার এর প্রয়োজন হয় যেটাকে আমরা বলি আইপি অ্যাড্রেস বা ইন্টারনেট প্রটোকল। ওই IP address এর মাধ্যমে একটা কম্পিউটারের সঙ্গে আরেকটি কম্পিউটারের যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।

আইপি এড্রেস কত প্রকার ও কি কি :

IP address মূলত চার প্রকারের

১. প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস (private IP address)

২. পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস (public IP address)

৩. স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেস (static IP address)

৪. ডায়নামিক আইপি অ্যাড্রেস (dynamic IP address)

 

   এছাড়া ভার্শন অনুযায়ী আইপি এড্রেস কত ভাগে ভাগ করা যায় 

১. IPv4 (আইপি ভার্শন 4)

২. IPv6 (আইপি ভার্সন 6)

 IPv4 (আইপি ভার্শন 4) :

ইন্টারনেট প্রটোকল এর প্রথম ভার্সন হল IPv4  1983 সালে তৈরি হয়। IPv4 এডড্রেস এই চারটি সেগমেন্ট থাকে প্রতিটি অংশকে পৃথক করার জন্য ডট (.) ব্যবহার করা হয় যেমন 192.168.1.34 আর প্রতিটি সেগমেন্ট 8 বিটের হয়ে থাকে অর্থাৎ 4 টি সেগমেন্ট 32 বিটের আইপি অ্যাড্রেস হয়ে থাকে। অর্থাৎ IPv4 এর বিট সংখ্যা হল 32

 

বর্তমানে দিন দিন স্মার্টফোন, কম্পিউটার ডিভাইস, ল্যাপটপ ইত্যাদির ববহার বেড়ে যাওয়ার কারণে  IPv4 কিন্তু আর বেশি দিন থাকবেনা এর ধারণক্ষমতা কিন্তু খুব কম। আর এই কথা মাথায় রেখে কিন্তু IPv6 তৈরি হয়েছে।

 IPv6 (আইপি ভার্সন 6) :

ইন্টারনেট প্রটোকল এর শেষ ভার্সন হলো IPv6 এর ধারণক্ষমতা কিন্তু খুব বেশি। IPv6 অ্যাড্রেস এর বিট সংখ্যা হল 128

Ip address বের করার নিয়ম :

তো আপনারা আইপি এড্রেস কিভাবে বের করবেন তো এর জন্য আপনার ডিভাইসের গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ করবেন “what is my IP address” তো আপনারা প্রথমেই  একটা ওয়েবসাইটটা দেখতে পাবেন এই ওয়েবসাইটে ক্লিক করলে কিন্তু আপনারা খুব সহজেই আপনার ডিভাইসের IP address দেখতে পাবেন।

 

 আশা করি আপনারা আইপি এড্রেস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারলেন, আপনাদের যদি বুঝতে কোন অসুবিধা হয় তাহলে নিচে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url