ইন্টারনেট কি | ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে (What is internet in bengali)

বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগের (communication) অন্যতম মাধ্যম হলো ইন্টারনেট । এই ইন্টারনেটের কল্যাণে গোটা বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয় এসে পৌঁছেছে। বর্তমান পৃথিবী উন্নত হওয়ার পেছনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে গোটা বিশ্ব ধীরে ধীরে digitalized হচ্ছে এই internet এর জন্য। ইন্টারনেট ছাড়া কিন্তু আমরা এক মুহূর্ত চলতে পারিনা কারণ শিক্ষা ব্যবস্থা যোগাযোগ শিল্প প্রযুক্তি ও বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট।

 
ইন্টারনেট ও কম্পিউটার এই দুটোর মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে একটি পরিবারের মতো করে তুলেছে যখন ইচ্ছা যার সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারি, ভিডিও দেখতে পারি, ভিডিও ডাউনলোড করতে পারি যেকোনো তথ্য সহজে খুঁজে পেতে পারি। ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার (computer) বিশ্বের যুগান্তকারী আবিষ্কার যা গোটা পৃথিবীর মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে।
ইন্টারনেট কি | ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে
Internet explain in bengali
তো আমরা আজকের আর্টিকেলে জানব ইন্টারনেট কাকে বলে (Internet kake bole) ? ইন্টারনেট কি কি কাজে লাগে ? ইন্টারনেট কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি বিষয় ।
 আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে সম্পন্ন পড়েন তাহলে আপনারা ইন্টারনেট বলতে কি বুঝায় (Internet in bangla) । ইন্টারনেট এর প্রকারভেদ | ইন্টারনেট প্রটোকল কি এই সমস্ত বিষয়গুলো আপনরা জানতে পারবেন।

ইন্টারনেট মানে কি (internet meaning in Bangla)

তো আসুন জেনে নেই Internet এর পূর্ণরূপ কি । ইন্টার্নেট এর পূর্ণরূপ হল ইন্টারকানেক্টেড নেটওয়ার্ক (interconnected network) । ‘Inter’ শব্দটি এসেছে interconnected থেকে আর ‘Net’ শব্দটি এসেছে Network থেকে । ইন্টারনেট এর অর্থ হল পরস্পর সংযুক্ত নেটওয়ার্ক। 
 
বাংলায় ইন্টারনেট কে অন্তর্জাল ও বলা হয় কারণ গোটা বিশ্বে একটা নেটওয়ার্ক জালের মত একে অপরের সঙ্গে বা কোটি কোটি কম্পিউটারের সঙ্গে connected রয়েছে।

ইন্টারনেট কি (what is internet in bangla)

চলুন এবার সহজভষায় জেনে নেই  Internet কি ইন্টারনেট হলো এক ধরনের কম্পিউটার গ্লোবাল নেটওয়ার্ক (global network) যার সাহায্যে পৃথিবীর সমস্ত কম্পিউটারকে সংযুক্ত করে অর্থাৎ পৃথিবীর অধিকাংশ কম্পিউটার একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত (Connected) থেকে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করে এদের কে একসঙ্গে ইন্টারনেট বলে। পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ করার জন্য একটি নাম্বার এর প্রয়োজন হয় যা ইন্টারনেট প্রটোকল (internet protocol) বা Ip Address নামে পরিচিত। ইন্টারনেট প্রটোকল কি বা ইন্টারনেট প্রটোকল কাকে বলে সেটি আমরা আগেই আলোচনা করেছি।

ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেন

চলুন এবার আমরা জেনে নিই ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেন | কত সালে internet আবিষ্কার হয়, একক কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন নি অনেক বিজ্ঞানীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়েছে । তবে Bob KhanVint Cerf ইন্টারনেটের কাঠামো তৈরি করেন যা এখনও ব্যাবহার হচ্চে। Internet এর মূল অংশ Tcp/Ip Protocol তারা তৈরি করেন Tcp/Ip এর পূর্ণরূপ হল Transmission Control Protocol / Internet Protocol তাদের এই ইন্টারনেটের কাঠামোর উপর নির্ভর করে পরবর্তীকালে ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়। 

ইন্টারনেটের ইতিহাস (History of Internet in Bengali)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আমেরিকা ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই (Cold War) এর সূচনা হয় সেই সময় 1960 দশকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা advanced research project agency (ARPA) কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগার এর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি কম্পিউটার থেকে আরেকটি কম্পিউটারে ডাটা ট্রান্সফার করা। 
 
Packet Switching এর মাধ্যমে তৈরি করা নেটওয়ার্ক ARPANET (advanced research project agency network) নামে পরিচিত ছিল। ARPANET 1969 সালে The University of California at los Angeles, The The University of California at Santa Barbara, Stanford research institute এবং University of Utah এই চার বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ করতে সক্ষম হয় এবং যেকোন তথ্য এই কম্পিউটার গুলির মধ্যে আদান-প্রদান করা হয়।
 
1971 সালে ARPANET  আরো কতগুলি বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটারের সঙ্গে Connect করতে সক্ষম হয় এবং ধীরে ধীরে নেটওয়ার্কের বিস্তার বাড়তে থাকে। 
 
1972 সালে  Bob Khan ও Vint Cerf  দুটো আলাদা নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মধ্যে কিভাবে সংযোগ করা যায় এ বিষয়ে তারা research করতে থাকে  এবং তারা দুটো আলাদা দুটো আলাদা নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ করার জন্য Gateway নামের একটি ডিভাইস তৈরি করে। তারা Tcp/Ip  প্রটোকল তৈরি করে এই প্রটোকলের মাধ্যমে আলাদা আলাদা নেটওয়ার্ক ডিভাইস এর সঙ্গে কানেক্ট করতে সক্ষম হয়। এইভাবে ধীরে ধীরে ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়।
 
• আরও পড়ুন: রোবট কি?
 
1981 সালে একটি একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয় যার নাম CSNET (computer science network) এটি আসার পর অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিভাইসের সঙ্গে ডাটা transmit করতে সক্ষম হয়। এইভাবে ইন্টারনেটের বিস্তার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
 
1986 সালে NSFNET নেটওয়ার্ক developed হয় । এটি National Science Foundation (NSF) তৈরি করে। আলাদা আলাদা কম্পিউটারের সঙ্গে কানেক্ট করে ডাটা transmit করাই ছিল প্রধান কাজ । তখন NSFNET (National Science Foundation Network) এর স্পিড ছিল 56kbps । 1988 সালে এটাকে একটু upgrade করা হয় এবং এর স্পিড বেড়ে দাঁড়ায় 1.5mbps
 
1990 সালে ARPANET বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এটি অনেক পুরনো হয়ে গেছিল এবং ডাটা ট্রান্সফার এর স্পিড খুবই কম । এর জন্য ARPANET এর জায়গায় NSFNET কে Replace করা হয়।

 

 

 
Tim Berners-Lee 1989 সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) ও এইচটিটিপি (Http) আবিষ্কার করেন । এর ফলে অনলাইনে (online) ডেটা আদান-প্রদান করা সম্ভব হলো।
 এভাবে নেটওয়ার্কের জাল গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো । ইন্টারনেট কিভাবে আসে এ বিষয়টি আপনারা আশাকরি বুঝতে পারলেন।

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে (how does the internet work in Bengali) 

বর্তমান পৃথিবীতে দুই রকম ভাবে ইন্টারনেট ব্যাবহার করা হয়। প্রথমত স্যাটেলাইটের (satellite) মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় দ্বিতীয়ত সমুদ্রের মধ্যে যে fibre optic cable বিছানো রয়েছে তার মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট ব্যাবহার করা হয়। 90% ইন্টারনেট আমরা পেয়ে থাকি সমুদ্রের মধ্যে যে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল রয়েছে সেখান থেকে আর 10% ইন্টারনেট পড়ে থাকি satellite এর মাধ্যমে। সুতরাং আমরা প্রায়় সুতরাং আমরা প্রায় প্রত্যেকেই optical fibre মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। এর মাধ্যমেেই ডাটা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় transmit করা হয়। 
 
আপনার মোবাইলে তো ইন্টারনেট ক্যাবল সংযোগ করা নয় তাহলে আপনারা কিভাবে ইন্টারনেট ব্যাবহার করেন এর উত্তর হচ্ছে আপনার এলাকায় যে মোবাইল টাওয়ার (mobile tower) রয়েছে তার সাথে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ থাকে। এইটা আবার অপটিক্যাল ফাইবার থেকে আসা সিগন্যালকে Electromagnetic signal এ convert করে । এই ভাবে আপনার মোবাইলে নেটওয়ার্ক পৌঁছে যায়।

 

 

ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য আপনাকে একটি সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে । এই সার্ভার ব্যবহারকারীরা যে তথ্য জানতে চাই সেটা তাদের কে উপস্থাপন করে । আপনি যে কোম্পানির ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করেন তাদেরকে ISP বলে (internet service provider) । আপনাকে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য যে কোন কোম্পানির কাছ থেকে ইন্টারনেট কানেকশন নিতে হবে। 
 
ইন্টারনেট মূলত এই তিনটি প্রক্রিয়ায় কাজ করে প্রথমটি হচ্ছে সার্ভার যেখানে সমস্ত তথ্য রয়েছে । দ্বিতীয়টি হচ্ছে ISP অর্থাৎ যেখান থেকে আপনি ইন্টারনেট পরিষেবা পান । আর তৃতীয় টি হচ্ছে মোবাইল কম্পিউটার বা যে কোন ডিভাইস যার মাধ্যমে আপনারা তথ্য অনুসন্ধান করবেন।
 
আপনারা যখন ব্রাউজারে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেন বা কোন কিছু লিখে সার্চ করেন তখন 
এই অনুরোধটি সর্বপ্রথম আইএসপি র (ISP) কাছে যায় তারপর আইএসপি সার্ভারে  সেই তথ্য সার্চ করে সার্ভার থেকে সেই তথ্যটি খুঁজে নিয়ে আইএসপির মাধ্যমে আমাদেরকে উপস্থাপন করে।
 
আশা করি আপনারা ইন্টারনেট কিভাবে আসে বা ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করেে এ বিষয়টি বুঝতে পারলেন। 

ইন্টারনেট কত প্রকার ও কি কি (types of internet connection in Bengali)

চলুন তাহলে এবার জেনে নেই ইন্টারনেট সংযোগ কত প্রকার। কোন কোন ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করে সেগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হ

১. Dial up connection (ডায়ালআপ কানেকশন কি)

যখন কম্পিউটারে টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় তখন এই সংযোগ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।  Dial up connection আইপি সার্ভার এবং কম্পিউটারের মধ্যে একটি অস্থায়ী সংযোগ তৈরি করে। এই অস্থায়ী সংযোগগুলো তৈরি করা হয় মডেমের মাধ্যমে । এই ধরনের connection এর দাম ও কম এবং স্পিড ও কম।

২. Broadband connection (ব্রডব্যান্ড কানেকশন কি)

টেলিফোন , ISP বা ক্যাবল কোম্পানি এই ধরনের সংযোগ দিতে পারে । ব্রডব্যান্ড কানেকশন এর স্পিড বেশি এবং খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। high speed জন্য মূলত এই ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করা হয় ।

৩. Wireless internet connection (ওয়্যারলেস ইন্টারনেট কানেকশন কি )

wireless অর্থাৎ কোনো রকম তার ছাড়া ইন্টারনেট কানেকশন প্রদান করে। এই সংযোগ মূলত radio frequency band মাধ্যমে মূলত ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে। 

৪. satellite internet connection (স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কানেকশন কি)

এই ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ মূলত স্যাটেলাইট থেকে দেওয়া হয় । স্যাটেলাইট সিগন্যাল এর মাধ্যমে যে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া সেটাই হচ্ছে satellite internet connection । এই ধরনের সংযোগ খুব কম ব্যবহার করা হয়।
 

৫. Mobile internet connection (মোবাইল ইন্টারনেট কানেকশন) 

এ ধরনের সংযোগগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মোবাইলে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের টেলিকম কোম্পানি গুলো এই কানেকশন provide করে। যেমন jio, Airtel,  Voda, BSNL ইত্যাদি কোম্পানি।
 

 ৬. ISDN connection (ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস ডিজিটাল নেটওয়ার্ক)

এই ধরনের সংযোগ বেশ ব্যয়বহুল। এর স্পিড Dial up connection থেকে বেশি ।

ইন্টারনেটের সুবিধা

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো 

১. communication (যোগাযোগ)

ইন্টারনেট এর  সবথেকে বড় সুবিধা হলো Communication বা যোগাযোগ । ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে বসে অনলাইনে মানুষের সঙ্গে মেসেজ  এর মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন, অডিও কল করতে পারবেন, ভিডিও কল করতে পারবেন। যখন ইন্টারনেট বা টেলিফোন ব্যবস্থা ছিলনা তখন কারো সাথে কথা বলা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল।

২. Entertainment (বিনোদন)

বর্তমানে ইন্টারনেট হাতের মুঠোয় চলে আসার ফলে মোবাইল কম্পিউটার ল্যাপটপ মোবাইল ফোন ইত্যাদি ডিভাইসের মাধ্যমে অনলাইনে  সিনেমা (movie) দেখা, গান শোনা, গেম খেলা ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকি।

৩. Knowledge and learning (জানা এবং শেখা)

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারি। যে কোন তথ্য জানার জন্য যে কোন ব্রাউজারে সেটা লিখে সার্চ করলে সেই সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যায়। এছাড়া আপনি ইউটিউবে কোন বিষয় লিখে সার্চ করলে সেই সম্পর্কিত অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন। এভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এক কথায় বলা যেতে পারে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা অপারেশন।

৫. Online bill pay recharge tickets booking

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে ইলেকট্রিক বিল বা যে কোন বিল pay করতে পারবেন, গ্যাস বুকিং করতে পারবেন, যেকোনো রিচার্জ করতে পারবেন, ট্রেনের টিকিট বিমানের টিকিট বুক করতে এছাড়া আরো অনেক কাজ করতে পারবেন।

৪. Online shopping 

বাড়িতে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনারা অনলাইন শপিং করতে পারবেন। যেকোনো জিনিস আপনারা কেনাকাটা করতে পারবেন।

 

 

৫. Make money from online

আপনারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে নিজের skill developed করতে পারবেন ,অনেক কিছু শিখতে পারবেন এবং আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন , যেমন YouTube, blogging, freelancing, reselling business ইত্যাদি মাধ্যম থেকে।
 
ইন্টারনেটের আরো অনেক সুবিধা রয়েছে এই আর্টিকেল এ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুবিধা বা ইন্টারনেটের ৫টি ব্যবহার আলোচনা করলাম

ইন্টারনেটের অসুবিধা 

ইন্টারনেট ব্যবহারে যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি অসুবিধা রয়েছে ।দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা গুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি

১. Waste of time (মূল্যবান সময় নষ্ট করা)

 আমরা অনেকেই প্রয়োজনের থেকে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করি এবং আমাদের মূল্যবান সময়টা নষ্ট করি। আমরা প্রায় অনেকেই ইউটিউব ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে অযথা সময় নষ্ট করি

২. Virus attack 

ভাইরাস অ্যাটাক এই কথাটি আপনারা প্রত্যেকে শুনেছেন। অনেকের কম্পিউটারে ভাইরাস অ্যাটাক করে সেই কম্পিউটারের বিভিন্ন ডাটা হ্যাকাররা নিয়ে নেয়।

 

 

৩. Spam 

অনেক সময় হ্যাকাররা ইমেইলের মাধ্যমে বা মেসেজের মাধ্যমে আপনাদের কে লিংক শেয়ার করে সে লিংকটিতে যদি আপনারা ক্লিক করেন আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য তারা পেয়ে যাবে।

৪. Internet not free (ইন্টারনেট ফ্রি না)

ইন্টারনেট কিন্তু ফ্রি নয় আপনাকে টাকা দিয়ে ইন্টারনেট কানেকশন নিতে হবে অথবা ইন্টারনেটের জন্য রিচার্জ করতে হবে।

৫. Misuse of internet (ইন্টারনেটের অপব্যবহার)

আমরা অনেকেই  ইন্টারনেটের অপব্যবহার করতে শুরু করেছি। আমরা অনেকেই খারাপ ভিডিও দেখে এর ফলে আমাদের চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তন হয়ে যায় এর ফলে আমরা ভুল পথে পরিচালিত হয়।
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুফল ও কুফল রচনা করলাম অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারে পাঁচটি সুবিধা লেখ লাম ও পাঁচটি অসুবিধার কথা বললাম। ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা অনেক ছিল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি এই আর্টিকেলে এ আলোচনা করা হল।
 
আশা করি আপনারা আজকের আর্টিকেল থেকে Internet কি ? ইন্টারনেট কত সালে আবিষ্কার হয় ? অর্থাৎ ইন্টারনেটের সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে পারলেন।
 
প্রশ্ন ইন্টারনেট কি এই  সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই আপনার মতামত জানাতে পারেন নিচের কমেন্ট বক্সে এবং পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কে শেয়ার করতে পারেন ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url