এটিএম কার্ড কি ? এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম (what is ATM card in Bangla)
ধীরে ধীরে গোটা পৃথিবী ডিজিটাল হচ্ছে এর ফলে অনলাইনে কাজের চাহিদা বাড়ছে। প্রত্যেকটি দেশের সরকার কিন্তু অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে এর ফলে মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে এবং ঘরে বসে অনলাইন টাকা পেমেন্ট, অনলাইন শপিং ইত্যাদি করতে পারছে। তো অনলাইন পেমেন্ট করার একটা মাধ্যম হচ্ছে এটিএম কার্ড।
এটিএম কার্ড কি |
আপনারা যখন নতুন ব্যাংকে একাউন্ট করতে যান তখন আপনাদেরকে একটি প্লাস্টিক কার্ড আবেদনের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাদেরকে অফার করে এবং আবেদন করার পর বেশ কিছুদিন পর ওই কার্ডটি আপনি হাতে পান হতে পারে সেটি এটিএম কার্ড বা ডেবিট কার্ড।
তো আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব এটিএম কার্ড কি (ATM Card ki) ? এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম ? এটিএম কার্ডের নাম্বার কোথায় থাকে ? নতুন এটিএম কার্ড কিভাবে করবেন ইত্যাদি বিষয়।
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে সম্পন্ন পড়েন তাহলে এটিএম কার্ড সম্পর্কে সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় জানতে পারবেন। তো চলুন তাহলে ATM কার্ড কি ? এ বিষয়টি জেনে নিই।
এটিএম কার্ড কি ? (What is ATM card in Bengali) :
এটিএম কার্ড হল সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত একটি প্লাস্টিকের কার্ড যাকে ভার্চুয়াল কার্ড বলা যেতে পারে যেটির সাহায্যে এটিএম মেশিন থেকে টাকা তুলা, টাকা জমা করা , অনলাইনে কেনাকাটা বা অনলাইনে মানি টান্সফার করতে পারবেন।
আপনি যখন ব্যাংকে নতুন একাউন্ট খুলতে যাবেন তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে ATM card বা debit কার্ডের অফার করবে। তো আপনি এই কার্ড নিতে চাইলে আপনাকে একটি ফরম ফিলাপ করে সেখানে জমা দিতে হবে। তারপর কিছুদিন পর পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আপনার বাড়িতে atm কার্ড বা ডেবিট কার্ড চলে আসবে।
ATM এর পূর্ণরূপ কি ? (Atm full form bengali) :
এটিএম কার্ড ফুল ফর্ম হলো “Automated Teller Machine” বা “স্বয়ংক্রিয় টেলার মেশিন” ।
বিশ্লেষণ করে :
A – automatic
T – Teller
M – Machine
আশাকরি ATM এর পুরো নাম কি এ বিষয়টি বুঝতে পারলেন।
এটিএম কার্ড কিভাবে তৈরি করব ?
এখন আর যারা এটিএম কার্ড ব্যবহার করেন না তারা হয়তো ভাবছেন কীভাবে আমি এটিএম কার্ড হাতে পাব অর্থাৎ কিভাবে এটিএম কার্ড তৈরি করব ।
তো এটিএম কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনি যে ব্যাংকের এটিএম কার্ড করতে চান সেই ব্যাংকে গিয়ে এটিএম কার্ড আবেদন করার জন্য একটি ফর্ম তুলবেন এবং এই ফর্ম সঠিকভাবে ফিলাপ করে সেখানে জমা দিয়ে দিবেন। তারপর বেশ কিছুদিন পর আপনার বাড়িতে পোষ্টের মাধ্যমে এটিএম কার্ড চলে আসবে। যারা ব্যাংক একাউন্ট করে ফেলেছেন কিন্তু এটিএম কার্ড করেননি তাদের জন্য এই প্রসেস টি।
• Nft কি ?
এছাড়া আপনি চাইলে নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সাথে সাথে এটিএম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নতুন ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে এটিএম কার্ড এর অফার করবে তো আপনি যদি এটিএম কার্ড নিতে চান তাহলে ব্যাংক থেকে একটি এটিএম কার্ড আবেদনের ফরম নিয়ে ফরমটি ঠিকমত ফিলাপ করে সেখানে জমা দিয়ে দিবেন তারপর বেশ কিছুদিন পর আপনার বাড়িতে এটিএম কর চলে আসবে। আশাকরি এটিএম কার্ডের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন এ বিষয়টি বুঝতে পারলেন।
এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম | এটিএম থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি :
এটিএম কার্ড কিভাবে ব্যবহার করবেন বা এটিএম থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি কি এই বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত ধারণা দিয়।
Step 1 : প্রথমে এটিএম কার্ড দিয়ে এটিএম মেশিন নিয়ে প্রবেশ করান বা swipe করুন ।
Step 2 : তারপর আপনারা “please select language” এই অপশনটি দেখতে পাবেন তো আপনার সুবিধামতো ভাষা সিলেক্ট করবেন।
Step 3 : তারপর আপনাকে Atm card এর পিন কোড দিতে হবে তো আপনারা সঠিক ভবে এটিএম কার্ডের পিন কোড টি দিয়ে দিবেন। আপনারা যদি তিনবার ভুল পিন কোড দিন তাহলে সেই দন আপনারা এটিএম কার্ড থেকে টাকা তুলতে পারবেন না। সুতরাং আপনারা সঠিকভাবে এটিএম এর পিন কোড টি দিবেন।
Step 4 : আপনাদেরকে এটিএম থেকে টাকা তোলার প্রসেস টি দেখাচ্ছি তো সেজন্য আপনারা withdra অপশন এ ক্লিক করবেন।
Step 5 : তারপর আপনারা “please select account type” এই লেখা টি দেখতে পাবেন। তো আপনার ব্যাংক একাউন্ট savings না current সেটি সিলেক্ট করবেন (আমাদের বেশির ভাগই সেভিংস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট) ।
Step 6 : তারপর আপনারা enter amount অর্থাৎ কত টাকা তুলতে চান সেটা টাইপ করবেন তারপর আপনারা yes বা correct অপশন দেখতে পাবেন তো আপনার আশে অপশনটিতে ক্লিক করবেন ।
Step 7 : তারপর যত টাকা টাকা টাইপ করেছেন সেই টাকার এমাউন্ট টি এটিএম থেকে বেরিয়ে আসবে।
আশাকরি এটিএম থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি টি বুঝতে পারলেন।
এটিএম কার্ড এর সুবিধা ?
1. আপনার কাছে এটিএম কার্ড থাকলে ব্যাংকে কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না খুব সহজে আপনারা যে কোন এটিএম মেশিন থেকে এই কার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন বা জমা করতে পারবেন।
2. ATM কার্ডের মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন এছাড়া আপনারা মোবাইল রিচার্জ, ইলেকট্রিসিটি বিল পেমেন্ট, সিনেমার টিকিট বুক ইত্যাদি করতে পারবেন।
3. কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে অনেক টাকা না নিয়ে গিয়ে নিজের কাছে একটা atm বা ডেবিট কার্ড থাকলে অনলাইনে অনেক কিছু পেমেন্ট করতে পারবেন এছাড়া টাকার প্রয়োজন হলে যেকোনো এটিএম মেশিন থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
এটিএম কার্ড এর অসুবিধা ?
1. এটিএম কার্ড ব্যবহার করার জন্য আপনাকে বাৎসরিক চার্জ দিতে হবে।
2. এটিএম কার্ডের মাধ্যমে একদিনে নির্ধারিত সীমার মধ্যে টাকা তুলতে পারবেন না।
3. আপনার এটিএম কার্ডের পিন কেউ জেনে গেলে আপনি পরবর্তীকালে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন।
এটিএম কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায় ?
এটিএম কার্ড দিয়ে দৈনিক সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যাবে এ বিষয়টি নির্ভর করে ব্যাংকের উপর। তবে বাংলাদেশের অনেক ব্যাংক থেকে আপনারা সর্বোচ্চ 1 লাখ টাকা তুলতে পারবেন। এছাড়া অনেক ব্যাংক রয়েছে সে ব্যাংকের এটিএম কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ 50 হাজার টাকা তুলতে পারবেন। ভারতে SBI ব্যাংকের এটিএম কার্ড দিয়ে একদিনে কুড়ি হাজার টাকার বেশি বলতে পারবেন না। ICICI Bank ব্যাংকের এটিএম কার্ড দিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ 1 লাখ টাকা তুলতে এছাড়া HDFC Bank এর এটিএম কার্ড দিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা তুলতে পারবেন। আশা করি এটিএম কার্ড থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা তোলা যাবে এই বিষয় টি বুজতে পারলেন।
এটিএম কার্ডের চার্জ কত ?
ATM card ব্যবহারের জন্য আমাদেরকে বাৎসরিক একটি চার্জ দিতে হয় যেটি প্রায় 150 – 200 টাকা। যেমন ডাচ বাংলা ব্যাংক এর বাৎসরিক atm চার্জ 230 টাকা, ইসলামী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ 300 টাকা, রূপালী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ 200 টাকা আর ভারতের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা প্রায় একই 150 – 200 টাকার মধ্যে।
আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে এটিএম মেশিন কি? এটিএম কার্ড কি ? ATM এর পূর্ণরূপ কি ? এটিএম কার্ডের কাজ কি ? ইত্যাদি বিষয়ে জানতে পারলেন।
এটিএম কার্ড নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি কেমন লাগলো অবশ্যই নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে আপনাদের মতামত জানাতে পারেন ধন্যবাদ।