কম্পিউটার কি – কম্পিউটার হলো প্রযুক্তিগত মেশিন বা যন্ত্র যেটি সাহায্যে আমরা বিভিন্ন জটিল কাজ এক নিমেষে করতে পারি। বর্তমান যুগ হচ্ছে কম্পিউটারের যুগ, এটির সাহায্যে আমরা, গ্রাফিক্স, ভিডিও এডিটিং, ব্যাংকিং কাজ, ভিডিও দেখা, ডকুমেন্ট লেখা, ফটোশপ থেকে ছবি বের করা, বিভিন্ন ধরনের জটিল ক্যালকুলেশন, এক্সেল এর কাজ প্রভৃতি অনেক কাজ করে থাকি।
বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে অফিস, আদালত, স্কুল সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয় এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজতর করে তলে।
তাই বর্তমান যুগে কম্পিউটারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো আপনি যদি Computer ki এটা না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আজকের এ ব্লগ পোস্টে কম্পিউটার কী | কম্পিউটারের ইতিহাস। কম্পিউটার এর কাজ কি | কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি ইত্যাদি সমস্ত কিছু আলোচনা করব। সুতরাং ধৈর্য ধরে আটিকেল কে পড়ার চেষ্টা করুন।
কম্পিউটার কি | What is computer in bangla
কম্পিউটার হলো একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র বা ডিভাইস যা ব্যবহারকারী দ্বারা নির্দেশিত নির্দেশাবলী প্রসেস করার মাধ্যমে দরকারী তথ্য আমাদেরকে আউটপুট প্রদান করে।
অর্থাৎ, ইনপুট ডিভাইস যেমন মাউস, কীবোর্ড ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোন command নির্দেশ করে, সে নির্দেশনা গুলি সিপিইউ তে প্রসেসিং হয়ে আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে (যেমন মনিটর) প্রদর্শিত হয়।
কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক জটিল কাজ কয়েক মিনিটে করে ফেলতে পারি, কম্পিউটারের একটা নির্দিষ্ট ভাষা রয়েছে যার নাম মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ । এটি বাইনারি নম্বর 0 এবং 1 ছাড়া কিছুই বোঝে না। আর কম্পিউটারের আকার আকৃতি অনুযায়ী নাম ও আলাদা হয়, যেমন ডেক্সটপ, ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মার্টফোন ইত্যাদি।
কম্পিউটার কাকে বলে | Computer kake bole
যে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারী কাছ থেকে ইনপুট হিসাবে ডেটা সংগ্রহ করে সেই ডেটা গুলো প্রসেসিং করে আমাদেরকে আউটপুট দেয় তাকে কম্পিউটার বলে। অর্থাৎ যে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে চারটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় ইনপুট, আউটপুট,প্রসেসিং ও মেমরি স্টোরেজ ইউনিট সে যন্ত্রটিকে কম্পিউটার বলে। আশা করি computer bolte ki bojho এ বিষয়টি বুঝতে পারলেন।
কম্পিউটার অর্থ কি | কম্পিউটার মানে কি | Computer meaning in Bengali
কম্পিউটার শব্দটি গ্রিক শব্দ কম্পিউট (compute) থেকে এসেছে যার অর্থ গনক যন্ত্র বা গণনাকারী যন্ত্র। এটির সাহায্যে যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ এছাড়া বিভিন্ন ধরনের জটিল ক্যালকুলেশন করা যায়।
কম্পিউটার ফুল ফর্ম কি | computer পূর্ণরূপ কি
কম্পিউটার এর পূর্ণরূপ কি এটা হয়তো অনেকের কাছে অজানা তবে কমপিউটার হচ্ছে সংক্ষিপ্ত রূপ তবে এর ফুল ফর্ম আছে সেটি হল।
C – Commonly
O – Operated
M- Machine
P – Particularly
U – Used in
T – Technology
E – Educational
R – Research
কম্পিউটার বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ
কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য গুলি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
১. দ্রুতগতি (speed) :
computer যে কোন গাণিতিক সমাধান নিখুঁতভাবে দ্রুত গতিতে করতে পারে অর্থাৎ মানুষের থেকেও দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে। কম্পিউটারের এই কাজের গতিতে মিলি সেকেন্ড, মাইক্রো সেকেন্ড, নানো সেকেন্ড, পিকো সেকেন্ড প্রভৃতি এককে পরিমাপ করা হয়।
২. নির্ভুলতা (Accuracy) :
কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল নির্ভুলতা। এটি খুব দ্রুতগতিতে নির্ভুলভাবে কাজ করে। মানুষের ভুল হয় কিন্তু এটির কোন ভুল হয় না। আর কম্পিউটারে কোন ভুল হলে এর জন্য দায়ী মানুষ, যেমন ইনপুট দিবেন সেরকম আউটপুট দেবে।
৩. নির্ভরযোগ্যতা (Reliability) :
এর নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশি। আর এর নির্ভরযোগ্যতা বা ব্যবহার বেশি বলে বর্তমানে ইস্কুল কলেজ অফিস সব জায়গাতেই এটি ব্যাবহার করা যায়। যেকোনো ফলাফল একাধিকবার দেখতে চাইলে সেটাও পারবে না এর জন্য এর আউটপুট কখনোই পরিবর্তন হবে না।
৪. স্টোরেজে ক্ষমতা (storage capability) :
কম্পিউটারের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি অনেক বেশি। সেখানে কোটি কোটি ডেটা, যেমন ফটো, ভিডিও, ডকুমেন্ট ইত্যাদী স্টোর করে রাখতে পারবেন। সেই ডেটা গুলো কয়েক যুগ পর্যন্ত জমা করে রাখতে পারবেন। আর তথ্য জমা রাখার একক হল bite, যেমন Kilobyte (KB), Megabyte (MB), Gigabyte (GB), terabytes (TB) ।
৫. বহুমুখীতা (Versatility) :
গণনা ছাড়াও কম্পিউটারের সাহায্যে প্রচুর কাজ করা যায় যেমন ভিডিও দেখা, গেম খেলা, টাইপিং, ভিডিও এডিটিং, ডকুমেন্টস, গ্রাফিক্স ইত্যাদি। আরে এই কাজগুলো নিখুঁত এবং দক্ষ ভাবে সুসম্পন্ন করে।
৬. ধারাবাহিকতা (consistency) :
মানুষ প্রতিদিন সমানভাবে বা একটানা অনেকক্ষণ কাজ করতে পারে না কিন্তু কম্পিউটার ধারাবাহিক ভাবে একটানা অনেক ক্ষন ধরে কাজ করতে পারে অর্থাৎ ব্যবহারকারী যেভাবে কাজ করাই কম্পিউটার সেইভাবেই কাজ করে।
৭. অটোমেশন (Automation) :
কমপিউটার হলো একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিন একবার নির্দেশনা পেয়ে গেলে সেটি অটোমেটিক কাজ করে। জাস্ট নির্দেশনা দিতে হবে তারপর কম্পিউটার তার কাজ কোনরকম ত্রুটি ছাড়াই করে দেবে।
৮. গোপনীয়তা (security) :
কম্পিউটারের ডেটা গুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পাসওয়ার্ড এর বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যবহারকারীরা পাসওয়ার্ড দিয়ে তাদের ডেটা গুলোকে সিকিওর করে রাখতে পারবে।
৯. যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত (Reasonable decision) :
কম্পিউটার দ্রুত যুক্তি সঙ্গত সিদ্ধান্ত দেয়। যেমন যে কোন গাণিতিক ক্যালকুলেশন আমরা খুব সহজে জানতে পারি একদম নির্ভুল ভাবে।
১০. ব্যবহারের সহজতা (easy handling) :
বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহার অর্থাৎ পরিচালন করা খুব সহজ। সামান্য একটু জ্ঞান থাকলেই যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারবে।
কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কি কি | Components of Computer System
একটা কম্পিউটার শুধুমাত্র একটি যন্ত্রাংশ নয় । এটি বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে তৈরি হয়। এটির অনেকগুলো অংশ রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেই কম্পিউটারে কোন কোন অংশ কি কি কাজে লাগে ।
১. সিপিইউ (CPU) :
CPU যার পুরো নাম central processing unit (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) এটি কম্পিউটারের প্রধান অংশ। CPU কে বলা হয়ে থাকে কম্পিউটারে ব্রেইন বা অন্য মস্তিষ্ক। কখন কে কোন কাজ করবে সমস্ত কিছুর দিক নির্দেশনা দেয় সিপিইউ । এখানে কম্পিউটারের সমস্ত ডাটা প্রসেসিং হয়।
২. মাদারবোর্ড (motherboard) :
কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের নাম হল মাদারবোর্ড। এটির মাধ্যমে কম্পিউটারের অন্যান্য হার্ডওয়্যার গুলি যেমন, সিপিইউ অপটিক্যাল মেমোরি ভিডিও কার্ড, মেমোরি, সাউন্ড কার্ড ইত্যাদির যোগসূত্র স্থাপন করে। তাই মাদারবোর্ডকে কম্পিউটারে মা বলা হয়। কম্পিউটারের মাদারবোর্ড যদি ভাল হয় তাহলে কম্পিউটার খুব ফাস্ট কাজ করে।
৩. কীবোর্ড (keyboard) :
কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনপুট ডিভাইস হচ্ছে কিবোর্ড এটির মাধ্যমে কম্পিউটার কে ইনপুট বা কমান্ড দেওয়া হয়। এ কীবোর্ড ছাড়া কম্পিউটার ব্যবহার করা যায় না।
৪. মাউস (mouse) :
মাউস হল কম্পিউটারের জনপ্রিয় একটি ইনপুট ডিভাইস। এটি ছোট একটি যন্ত্র যেটি মসৃণ জায়গার উপর রাখ হয়। এটির মধ্যে একটি পয়েন্টার থাকে যেটি সাহায্যে কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটির সাহায্যে কম্পিউটার অফ করা, স্ক্রল করা, বিভিন্ন ধরনের ফাইল দেখা।
৫. মনিটর (monitor) :
কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আউটপুট ডিভাইস হল মনিটর। ইনপুট ডিভাইস যেমন কিবোর্ড এর সাহায্যে ইনপুট দেওয়া হয় সিপিইউ তে প্রসেসিং হয়ে আউটপুট ডিভাইস যেমন মনিটরে প্রদর্শিত হয়।
অর্থাৎ মনিটর হল একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেটি কম্পিউটারের সঙ্গে কানের থাকে এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফটো, ভিডিও, টেক্সট ইত্যাদি দেখা যাই।
৬. হার্ডডিক্স (hard disk ) :
কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো হার্ডডিস্ক। এটির কাজ হল কম্পিউটারের ডেটা স্থায়ীভাবে সঞ্চয় করে রাখা এবং পুনরুদ্ধার করা। হার্ডডিস্ক ড্রাইভ কি নন ভোলাটাইল মেমোরি (volatile memory) বলা হয়। কম্পিউটার চালু থাকলে ram এর ডেটা সংরক্ষণ থাকে। আর কম্পিউটার বন্ধ করে দিলে ram এর ডাটা মুছে যায়।
যখন কম্পিউটার বন্ধ করে দেওয়া হয় তখন সে সমস্ত ডেটা গুলো হার্ডডিক্সে নিরাপদে থাকে। একে কম্পিউটারের সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস ও বলা হয়।
৭. পাওয়ার সাপ্লাই (power supply) :
কম্পিউটারকে চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় একটি হার্ডওয়ার হলে পাওয়ার সাপ্লাই। এটির সাহায্যে কম্পিউটারের প্রত্যেকটি অংশকে সক্রিয় করে রাখে।
৮. র্যাম (Ram) :
RAM যার পুরো নাম হল random access memory এটিকে কম্পিউটারে প্রাইমারি মেমোরি বলা হয়। Ram এ কম্পিউটারের ডাটা স্টোর থাকে এবং পরবর্তীকালে প্রসেস করে আউটপুট দেখায়। Ram কে ‘non volatile memory’ ও বলা হয়।
কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি | কম্পিউটারের প্রকারভেদ | Types of computer in Bengali
গঠন ও বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়
১. এনালগ কম্পিউটার (analogue computer) :
এটি এমন এক ধরনের Computer যা এনালগ সংকেত গুলিকে গ্রহণ করে গণনা করে। যার প্রধান উদ্দেশ্য ভৌতিক পরিমাণকে মাপার কাজ করা। এই কম্পিউটার সাধারণত গণনার জন্য ব্যবহার করা হয় যেমন দিকনির্দেশনা, তাপমাত্রা সময় ইত্যাদি।
২. হাইব্রিড কম্পিউটার (hybrid computer) :
এনালগ এবং ডিজিটাল দুটি আলাদা আলাদা কম্পিউটার এবং এর কাজও আলাদা আর এই দুটির সমন্বয় হলো হাইব্রিড কম্পিউটার। এ কম্পিউটারের দাম এবং কাজের ক্ষমতা অনেক বেশি।
৩. ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer) :
ডিজিটাল কম্পিউটার ডিজিটাল তথ্য বা ডিজিটাল ডেটা নিয়ে কাজ করে । এ কম্পিউটার কাজ করার জন্য বাইনারি সংখ্যা 0 এবং 1 ব্যবহার করে। এ কম্পিউটার কম সময়ের মধ্যে আউটপুট প্রদান করতে পারে।
এই ডিজিটাল কমপিউটার কে আবা চার ভাগে ভাগ করা যায়, যেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।
• সুপার কম্পিউটার (Super computer) :
এই কম্পিউটার হলে খুবই উচ্চ কার্যসম্পাদনকারী কম্পিউটার যা খুবই দ্রুত গতিতে গণনা এবং ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। তার গতি এবং কার্যক্ষমতা সাধারণ কমপিউটার এর থেকে অনেক বেশি। এই কমপিউটার সাধারন বিজ্ঞানী গবেষণা, প্রকৌশল, আবহাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
•(Mainframe computer) :
এটি বড় এবং পাওয়ারফুল Computer সিস্টেম । অবশ্যই সুপার কম্পিউটার থেকে কম শক্তিশালী। এই কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের জটিল ও বৈজ্ঞানিক গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে। এই কম্পিউটার বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকে, ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়।
• মিনি কম্পিউটার (Mini computer) :
এই কম্পিউটার সাধারণ কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। মিনি Computer সাধারণত আকারে ছোট এবং দামে সস্থা হয়। ছোট বা মাঝারি আকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য মিনি কমপিউটার ব্যবহার করা হয়।
• মাইক্রো কম্পিউটার (Micro computer) :
মাইক্রো কম্পিউটার ছোট আকার বিশিষ্ট কম্পিউটার। যা সম্পূর্ণ স্বাধীন স্থানীয় ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ কম্পিউটার সাইজে ছোট এবং তুলনামূলক কম ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। ব্যক্তিগত কাজের জন্য এ ধরনের Computer ব্যবহার করা হয়। এর দাম ও সস্তা ব্যবহার করা অনেক সহজ।
কম্পিউটার এর কাজ কি | কম্পিউটার এর ব্যবহার
চলুন তাহলে জেনে নিই কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি । বর্তমানে শিক্ষা ব্যবসা চিকিৎসা সমস্ত ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ। আর কম্পিউটার ব্যবহার করেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথকে আরো সহজ করে তুলেছি। কম্পিউটারে কাজ কি নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১. বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ, মার্কসিট তৈরি করা থেকে, অনলাইন এক্সাম, স্কুল কলেজে অনলাইনে ভর্তি ফরম ফিলাপ সমস্ত কিছুই এই কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়।
২. চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে যেমন বিভিন্ন রোগ নির্ণয়, মাইক্রো সার্জারি, সিটি স্ক্যান, বিভিন্ন ধরনের জটিল অপারেশন এর ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
৩. আবহাওয়ার আগাম পূর্বাভাস দেওয়া, ভূমিকম্প সুনামির আগাম সতর্কবার্তা ইত্যাদি সমস্ত কাজ করা হয় এটির মাধ্যমে।
৪. আর বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কম্পিউটার ছাড়া তো আমাদের চলায় কঠিন কারণ অনলাইনে টাকা তোলা, রেল ও সড়ক,প্লেনের টিকিট, অনলাইন ইনকাম প্রভৃতি ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
৫. প্রশাসনিক ক্ষেত্রে যেমন অনলাইন মিটিং, এছাড়া অনলাইন ক্লাস ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়।
৬. ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্র এর ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ যেমন, ডিজাইনের ড্রইং তৈরি করতে, এর বিভিন্ন ডকুমেন্টসের করে রাখতে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়।
৭. আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল যোগাযোগ ব্যবস্থা, অনলাইনে যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম হলো কম্পিউটার ইমেল, মেসেজ, ফেসবুক, whatsapp, ভয়েস কল, গুগল ম্যাপ, ইত্যাদি ক্ষেত্রের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ।
৮. এছাড়া সিনেমা দেখা, গান শোনা, চ্যাট করা, গেম খেলা ইত্যাদির জন্য আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করি।
৯. অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
১০. কম্পিউটার ব্যবহার করে আপনারা বাড়িতে বসে কোম্পানি কাজ করতে পারবেন যেটাকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বলে। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করে ও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
FAQ:
১. কম্পিউটার জনক কে ?
উত্তর: চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
২. কম্পিউটার কত সালে আবিষ্কৃত হয় ?
উত্তর : প্রথম স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল কম্পিউটার ENAIC যেটা 1946 সালে আবিষ্কৃত হয়।
৩. কম্পিউটার শব্দের অর্থ কি ?
উত্তর : গণনাকারী যন্ত্র।
তো বন্ধুরা আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে, computer কি। কম্পিউটারের কাজ ও বৈশিষ্ট্য । কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি বিষয় জানতে পারলে।
কম্পিউটার কী (Computer ki) এই নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি কেমন লাগলো অবশ্যই নিজে থাকা কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাতে পারেন ধন্যবাদ।