টেলিগ্রাম কি – টেলিগ্রাম হল একটি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপে যেমন চ্যাট, ভিডিও কল, ফাইল শেয়ার ইত্যাদি করতে পারবেন টেলিগ্রাম ও কিন্তু সেম কাজ করতে পারবেন কিন্তু এটি অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপস এর থেকে অনেক এডভান্স, অর্থাৎ এর সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি।
বর্তমানে আমরা সবাই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করি, তুলনামূলকভাবে টেলিগ্রাম কম ব্যবহার করি কিন্তু আপনারা হয়তো এটি জানেন না telegram এর ফিচারস অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপস এর থেকে অনেক বেশি এবং এটি অনেক secure
আপনি যদি টেলিগ্রাম সম্পর্কে সেরকম কিছু না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য, আজকের এ ব্লক করতে আলোচনা করব আজকের এ ব্লগ পোস্টে আমি আলোচনা করব, টেলিগ্রাম কি । টেলিগ্রাম ব্যবহার কিভাবে করব। টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম কিভাবে করবো ইত্যাদি বিষয়। চলুন তাহলে বেশি কথা না বললে telegram ki এটি যেনে নিই।
টেলিগ্রাম কি | telegram meaning in bengali
Telegram হলো whatsapp, facebook এর মতো মেসেজিং অ্যাপ যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ করে চ্যাট, ভিডিও কল, ফাইল শেয়ারিং, গ্রুপ তৈরি ইত্যাদি কাজগুলো করতে পারবেন।
এছাড়া এটির এমন কিছু ফিচার আছে যা অন্য কোন Message Apps এ নাই।
টেলিগ্রাম হলো ক্লাউড ভিত্তিক ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্লাটফর্ম। অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, উইন্ডোজ ফোন, উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্স সকল ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবে।
টেলিগ্রাম কে আবিষ্কার করেন ?
জনপ্রিয় টেলি-গ্রাম মেসেজিং অ্যাপসটি পাভেল দুরভ এবং নিকোলাই দুরভ নামে দুজন রাশিয়ান ব্যক্তি 2013 সালে এটি আবিষ্কার করেন।
টেলিগ্রামের ইতিহাস
মূলত টেলিগ্রামের যাত্রা শুরু হয় 2013 সালে রাশিয়ার সবথেকে বড় সামাজিক নেটওয়ার্ক VK নির্মাতা পাভেল দুরভ এবং নিকোলাই দুরভ এর হাত ধরে। এরা দুই ভাই ছিলেন বড় ভাই নিকোলাই দুরভ সফটওয়্যার তৈরি করেছিলেন এবং ছোট ভাই পাভেল দুরভ তাকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করেছিলেন।
এটি iOS ফোন এর জন্য 14 আগস্ট 2013 সালে এবং এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য 20 অক্টোবর 2013 সালে লঞ্চ হয়েছিল। তবে আই ও এস এর থেকে android এ এই অ্যাপ ব্যবহারকারী সংখ্যা অনেক বেশি।
এতে রাশিয়ান অ্যাপ হলেও কিছু সমস্যার কারণে এর হেডকোয়ার্টার জার্মানি লন্ডন হয়ে বর্তমানে দুবাইয়ে রয়েছে।
2013 সালে শেষের দিকে টেলিগ্রামের ইউজার সংখ্যা ছিল প্রায় ১ মিলিয়ন কিন্তু বর্তমানে 2025 সালে টেলিগ্রামে টোটাল অ্যাক্টিভ ইউজার সংখ্যা প্রায় এক বিলিয়ন।
টেলিগ্রাম ডাউনলোড কোথায় করব
টেলি-গ্রাম ডাউনলোড করা খুবই সোজা, আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ইউজার হোন তাহলে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে telegram লিখে সার্চ করলেই টেলিগ্রাম অ্যাপস টি দেখতে পেয়ে যাবেন তারপর খুব সহজে ডাউনলোড করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি যদি ios ইউসার হন তাহলে এপ স্টোরে গিয়ে এটি ডাউনলোড করতে পারবে। এছাড়া আপনি ওয়েব এর জন্য লিনাক্স, ডেক্সটপে ডাউনলোড করতে। পারবেন । আশা করি টেলিগ্রাম কিভাবে ডাউনলোড করব এ বিষয়টি বুঝতে পারলেন।
টেলিগ্রাম কিভাবে ব্যবহার করব
টেলি-গ্রাম ব্যবহার করা খুব একটা কঠিন নয়, যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে তারা প্রত্যেকে টেলিগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন। আপনাদের মনে হয়তো টেলিগ্রাম কিভাবে খুলবো (telegram ki kore khulbo) এ প্রশ্ন টি আসতে পারে। তো telegram chalu করার জন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে হবে।
ডাউনলোড করে ওপেন করতে হবে তারপর মোবাইল নাম্বার নাম ইত্যাদি সবকিছু দিয়ে আপনাকে টেলিগ্রাম খুলতে হবে। এটি খোলার পর আপনার কন্টাক্ট লিস্টে থাকা যে যে ব্যক্তি গুলো টেলিগ্রাম ইউজ করে তাদের একাউন্টগুলো দেখতে পাবেন।
এবং তাদেরকে আপনি খুব সহজেই মেসেজ পাঠাতে পারবেন। টেলিগ্রাম আইডি কিভাবে খুলবো মনে হয় এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
টেলিগ্রাম চ্যানেল কিভাবে খুলবো
টেলি-গ্রাম চ্যানেল খোলার জন্য আপনাকে টেলিগ্রাম এপ্সে প্রবেশ করতে হবে তারপর সেখানে New channel option দেখতে পাবেন সেখান আপনারা ক্লিক করবেন।
তারপর নতুন চ্যানেল নাম দিয়ে দিবেন, এবং তার নিচে চ্যানেল সম্পর্কিত কিছু কথা ডেসক্রিপশন বক্সে লিখে দিবেন। তারপর ডান দিকে রাইট বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন। তারপর public link অপশনের চ্যানেলের নাম দিয়ে দিবেন, দিয়ে আবারো ডান দিকে রাইট বাটনে ক্লিক করবেন। ব্যাস আপনার চ্যানেল গুলা কমপ্লিট।
টেলিগ্রাম অ্যাপ এর কাজ কি
Telegram অ্যাপ whatsapp, Facebook এর মত একে অপরের সঙ্গে চ্যাট, ভিডিও কল, ফটো ভিডিও ডকুমেন্টস ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন।
এইখানে গ্রুপ তৈরি করতে পারবেন সেখানে প্রচুর মানুষ এড করতে পারবেন এছাড়া চ্যানেলেও তৈরি করতে পারবেন এর ফলে এই অ্যাপসে অনেকগুলো মানুষ কানেক্টেড থাকে । আজকাল লক্ষ্য করবেন যে মানুষ টেলি-গ্রাম গ্রুপে জয়েন হয় কারণ সেখান থেকে অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুকের থেকে এতে সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি।
টেলিগ্রাম এর সুবিধা
টেলি-গ্রাম ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে যেগুলো নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
১. এটির সব থেকে বড় সুবিধা হল অন্যান্য ম্যাসেজিং অ্যাপস এর থেকে অনেক secure
২. encryption technique কাজে লাগিয়ে সিক্রেট চ্যাট করতে পারবেন ।
৩. হোয়াটসঅ্যাপে আপনারা বড় ফাইল কাউকে সেন্ড করতে পারেন না কিন্তু টেলিগ্রামে 1.5 জিবি পর্যন্ত ফাইল সেন্ড করতে পারেন।
৪. টেলিগ্রামে কাউকে মেসেজ পাঠালে সেই মেসেজটি অনেকদিন পরেও delete for everyone বা মেসেজটি কে এডিট করা সম্ভব।
৫. এটি এতটাই নিরাপদ যে টেলিগ্রাম গ্রুপের কোন মেম্বারদের মোবাইল নাম্বার আপনি জানতে পারবেন না।
৬. এই অ্যাপ আনলিমিটেড স্টোরেজ প্রদান করে। এর সমস্ত ডাটা ওদের ক্লাউড এ স্টোর থাকে।
৭. এটি সম্পূর্ণ ফ্রি, এখানে কোনরকম অ্যাড দেখতে পাবেন না।
টেলিগ্রামের অসুবিধা
Telegram এর যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি এর কিছু অসুবিধা রয়েছে যেগুলো নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১. অনেক সময় ডাউনলোড কৃত ফাইলগুলো খুঁজে পেতে সমস্যা হয়।
২. এর অন্যান্য অ্যাপস এর থেকে সুযোগ সুবিধা বেশি থাকলেও, এই অ্যাপটি ইউজার ফ্রেন্ডলি নয়, নতুনদের জন্য ব্যবহারে একটু অসুবিধা হয়।
৩. এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন শুধুমাত্র সিক্রেট চ্যাটে পাওয়া যায়। নরমাল চ্যাটে এই অপশন পাওয়া যায় না।
তো বন্ধুরা টেলিগ্রাম কি । টেলিগ্রাম কিভাবে খুলবো । টেলিগ্রাম কিভাবে ব্যবহার করব ইত্যাদি বিষয়গুলো আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারলেন।
Telegram ki এই নিয়ে আজকের এই ব্লগ পোস্টটি কেমন লাগলো অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাতে পারেন ধন্যবাদ।